Search
Close this search box.

কবি নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত ১১৭ নম্বর কেবিনে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা

বই থেকে অর্জিত জ্ঞান অন্তরে ধারণ করে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সফরে যায় সে অর্জিত জ্ঞান প্রত্যক্ষ করতে। বইয়ের পড়া আর চোখের দেখা এই দুইয়ে মিলে পাঠের গভীরতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রেক্ষিতে নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর কম্পিউটার সাইন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের  ছাত্রছাত্রীরা ১৯ মে দুপুর ১২টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কক্ষ ‘কেবিন ১১৭’পরিদর্শন করে। যেটি কবির স্মৃতিধন্য জাদুঘর হিসেবে উন্মুক্ত করা হয়েছে সকলের জন্য।   

এ সময় শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থিত হন বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ক্লিনিক্যাল কার্ডিওলজির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. হারিসুল হক।  চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি তিনি নিজেও লেখালেখির চর্চায় যুক্ত আছেন। তিনি বলেন- যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা ভাষার কবিতা, গান, নাটক থাকবে ততদিন নজরুল আমাদের হৃদয়লোকে থাকবেন। তিনি আরও বলেন পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি প্রত্যক্ষভাবে নজরুলকে জানা বোঝার প্রচেষ্টায় নটর ডেম বিশ্ববদ্যালয়ের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।

নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের শিক্ষক মমতাজ হক বলেন- পাঠের মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান আরও বেশি পূর্ণতা পায় যদি তা চোখের সামনে উপস্থিত থাকে। দেখা এবং পড়া এই প্রক্রিয়া আমাদের মনোজগৎকে ব্যাপক ভাবে প্রসারিত করে। কবি নেই তবে তাঁর স্মৃতিধন্য কক্ষটি আছে। আমরা এর মধ্য দিয়েই তাঁকে অনুভব করবো।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ২২ জুলাই চিকিৎসকদের পরামর্শে বঙ্গবন্ধু ‘কবিভবন’থেকে কবিকে  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন আই পিজি এম আর)-এর ১১৭ নম্বর কেবিনে স্থানান্তর করেন। মৃত্যুর আগে শেষ কয়েকমাস এই কেবিনেই অবস্থান করছিলেন কবি। এই ১১৭ নম্বর কেবিনেই বাঙালির পরম প্রিয় কবির জীবনাবসান ঘটে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ব্লকের দ্বিতীয় তলায় এ কক্ষটি নজরুলের স্মৃতিকক্ষ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। সর্বোপরি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিধন্য কক্ষটি পরিভ্রমণ করে ছাত্রছাত্রীরা দারুণভাবে অনুপ্রাণিত হয়। শিক্ষার্থীদের কাছে এটি  ছিল ইতিহাস বহুল পরিভ্রমণ।

ADMISSION OPEN: Fall 2024